হ্যাকিং বলতে বুঝায় আপনি অনুমতি ছাড়া কোন তথ্য চুরি করে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা। হ্যাকিং অনেক ধরনের হতে পারে। আর এই কাজ গুলো যারা করে তাদের হ্যাকার বলা হয়। হ্যাকিং কে শিল্পের সাথে তুলনা করা হয়, যেটি আয়ত্ত্ব করতে প্রচুর ধৈর্য আর ইকটু বুদ্ধির প্রয়োজন হয়। আর আশ্চর্যের বিষয় এর হ্যাকারদের মাঝেও আবার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে।
- ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার
- গ্রে হ্যাট হ্যাকার
- হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারঃ
যারা সব ধরনের তথ্য নিজের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে, তাদের ব্ল্যাক হ্যাট বলা হয়। যারা সব সময় কম্পিউটার, বিভিন্ন সিস্টেমের দূর্বলতা খুজে বেড়ায় নিজের আর্থিক অথবা যেকোন পার্সোনাল লাভের আশায়। নিজের স্বার্থের জন্য এরা অন্যের অনেক ক্ষতি করে থাকে। এই হ্যাকারদের খারাপের তালিকায় রাখা যায়।
যারা সব ধরনের তথ্য নিজের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে, তাদের ব্ল্যাক হ্যাট বলা হয়। যারা সব সময় কম্পিউটার, বিভিন্ন সিস্টেমের দূর্বলতা খুজে বেড়ায় নিজের আর্থিক অথবা যেকোন পার্সোনাল লাভের আশায়। নিজের স্বার্থের জন্য এরা অন্যের অনেক ক্ষতি করে থাকে। এই হ্যাকারদের খারাপের তালিকায় রাখা যায়।
গ্রে হ্যাট হ্যাকার ঃ
এরা ভাল মন্দ দুটির সংমিশ্রন। এদের যখন যেটা ইচ্ছা হয় সেটাই করবে বলে ঠিক করে। এরা উপকার, ক্ষতি দুটিই করতে পারে।
এরা ভাল মন্দ দুটির সংমিশ্রন। এদের যখন যেটা ইচ্ছা হয় সেটাই করবে বলে ঠিক করে। এরা উপকার, ক্ষতি দুটিই করতে পারে।
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার ঃ
এদের ভালদের সারিতে ফেলা যায়। যারা শুধু মাত্র জানার আগ্রহ থেকে রিসার্চ করে। কম্পিউটার, ওয়েব পেজ, কোন সিস্টেমে কোন ্দূর্বলতা খুজে পেলে এরা এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত করে। এরা খুবই জ্ঞানী প্রকৃতির হয়ে থাকে।
এদের ভালদের সারিতে ফেলা যায়। যারা শুধু মাত্র জানার আগ্রহ থেকে রিসার্চ করে। কম্পিউটার, ওয়েব পেজ, কোন সিস্টেমে কোন ্দূর্বলতা খুজে পেলে এরা এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত করে। এরা খুবই জ্ঞানী প্রকৃতির হয়ে থাকে।
এই প্রকারভেদ দিয়ে অবশ্য আপনি বাংলাদেশের হ্যাকারদের যাচাই করতে পারবেন না কারণ বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স এবং বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকার্স এর নামের সাথে যদিও ব্ল্যাক হ্যাট এবং গ্রে হ্যাট আছে তবুও তারা কিন্তু পুরোপুরি হোয়াট হ্যাট।
হ্যাকার হতে হলে আপনার কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার প্রযোজন নেই, তবে কম্পিউটার সম্পর্কে ব্যাসিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। হ্যাকার হতে হলে আপনাকে যে বিষয় গুলো সম্পর্কে ভাল জ্ঞান অর্জন করতে হবে সেগুলো আমি এক এক করে আলোচনা করব। হ্যাকিং শেখা শুরু করার জন্য লিনাক্স এর ইনভায়রনমেন্ট সবচয়ে উপযোগী হলেও আমি আপনাদের উইন্ডোজ দিয়েই শুরু করতে বলব। লিনাক্সের ব্যবহার অনেক জটিল, যা আপনাদের শেখার আগ্রহ অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
যেটা দিয়ে আপনাকে প্রথমে শুরু করতে হবে সেটা হচ্ছে প্রোগ্রামিং। আপনার মনে হতে পারে প্রোগ্রামিং কেন? উত্তর, আপনি ইন্টারনেট, আপনার কম্পিউটারে যা কিছু দেখছে সবই কিন্তু প্রোগ্রামিং এর সৃষ্টি। বিশ্বাস না হলে Ctrl + U চাপুন! এই অসাধারণ জগতের রহস্য বুঝতে আপনাকে অব্যশই প্রোগ্রামিং দিয়ে শুরু করতে হবে। এখন প্রশ্ন কি দিয়ে শুরু করবেন। সবে তো শুরু! প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ HTML, CSS আর কম্পিউটার প্রোগ্রামিং C অথবা Python দিয়ে শুরু করতে পারেন।
আজকের মত এখানেই শেষ, পরের টিউনে নতুন কিছু লেখার চেষ্টা করব। ব্লগে চোখ রাখবেন ভাল থাকবেন এবং ভাল থাকবেন সে পর্যন্ত। আর আপনাদের যাবতীয় প্রশ্ন টিউমেন্ট সেকশনে টিউন করুন, আমি অব্যশই সাহায্যের চেষ্টা করব।
No comments:
Post a Comment