• Breaking News

    Search This Blog

    Friday, February 12, 2016

    ডিজাইন সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন ও তার সমাধান। কিভাবে গ্রাফিকরিভারের জন্য ডিজাইন করবেন? কিভাবে শিখবেন? কোথায় শিখবেন?

    ডিজাইন সম্পর্কি অনেক প্রশ্ন ও তার সমাধান। কিভাবে গ্রাফিকরিভারেরজন্য ডিজাইন করবেন? কিভাবে শিখবেন? কোথায় শিখবেন? ইত্যাদী
    আসসালামু আলাইকুম,
    প্রায়-ই সময়, বিশেষ করে প্রতি সপ্তাহেই ১০ থেকে ২০ জনের মত ফেইসবুকে ম্যাসেজ দেয় যে, কিভাবে ভাল ডিজাইন শিখবে বা ভাল মানের ডিজাইন করবে? আবার অনেকেই প্রশ্ন করে গ্রাফিক রিভারের জন্য কিভাবে ডিজাইন করবে? কি করলে ডিজাইন এপ্রুভ হবে? আবার অনেকে সাজেশন্সস চায় যে, কোথায় বা কোন ট্রেইনিং সেন্টারে ভাল মানের গ্রাফিক ডিজাইন শিখায়? এত প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আর ভাল লাগে না। অনেকেই আমার কাছে আসতে রিকুয়েস্ট করে এইসব বিষয়ে তাই ডক লিখতে বসলাম। অনেকদিন যাবৎ ই একটা বিষয় নিয়ে লেখার চিন্তা করেও সময়, মন-মানষীকতা, পরিস্থিতি ইত্যাদী হয়ে ওঠে না। তাই আজকে বসেই পড়লাম।

    ডিজাইন শিখার জন্য কোথায় যাবেন বা কোন জায়গা থেকে শিখবেন?
    – অনেকেই ডিজাইন শিখার জন্য বিভিন্ন ট্রেইনিং সেন্টারে ভর্তি হন। আমাদের দেশের ট্রেইনিং সেন্টার গুলো শুধু মাত্র ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটরের টুল গুলোর বেসিক ব্যবহার শিখায়। ফটোশপ ইলাস্ট্রেটরের টুলের ব্যবহার জানলেই ডিজাইনার হওয়া যায় না। ট্রেইনিং সেন্টারগুলো যা শিখায় তার চেয়ে অনেক ভাল ভাবে আপনি গুগল, অথবা ইউটিউব থেকে শিখতে পারেন। সেখান থেকে আপনি যা পাবেন , তা ট্রেনিং সেন্টার থেকেও পাবেন না। ইন্টারনেট হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কুল, যদি আপনি ঠিক মত ব্যাবহার করতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে আমার টিউটোরিয়াল গুলে ফলো করতে পারেন Basic Photoshop Tutorial youtube”
    যেভাবে ভাল মানের ডিজাইন করবেন
    – ভাল মানের ডিজাইন করার জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে আত্নবিশ্বাসী হতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্যশীল হতে হবে। কখনোই ধৈর্য হারালে চলবে না আর সর্বদা মনে মনে একটা জিনিস ঘুরাতে হবে , সেটা হচ্ছে -আমি ভাল ডিজাইন করতে পারবো, আমার থেকে অবশ্যই ভাল আইডিয়া বের হবে। আমার ক্রিয়েটিভিটি সবার থেকে আলাদা।-
    এই চিন্তার মাধ্যমে আপনার মানষীক একটা প্রশান্তি কাজ করবে। আর যখনই আপনি মানষীকভাবে শান্তি পাবেন তখনই দেখবেন আপনার মাথা থেকে একটা একটা করে নতুন নতুন আইডিয়া বের হয়ে আসছে। ( এটা কোন অবাস্তব কথা নয়, বিশ্বাস না হলে ট্রাই করে দেখুন)
    দ্বিতীয়ত-ডিজাইনটা সম্পূর্ণটা কালার এর উপরে ডিপেন্ট করে। কোন কালার এর সাথে কোন কালার ভার মিলবে, কোনটার সাথে কোনটা দিলে ডিজাইনটা ফুটে উঠবে এই সম্পর্কে একটু জ্ঞান রাখা । কালার সম্পর্কে ব্যাপক স্ট্যাডি করতে চাইলে গুগল মামার কাছে ডিজাইনকালারিং ম্যানেজমেন্ট দিয়ে সার্চ দিলে অনেক আর্টিকেল পাবেন। ওই গুলো যদি একটু ধৈর্য করে পড়তে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার ডিজাইনের অনেক জড়তা কেটে গেছে। ( কয়েকদিনের মধ্যে ইনশা-আল্লাহ কালারিং এর উপরে কয়েকটা লিখা পোস্ট করবো । কালারিংটা একটা পর্বে শেষ করা সম্ভব না। সম্ভব হলে এখানেই লিখতাম )
    তৃতীয়ত- প্রচুর পরিমাণে ভাল ভাল ডিজাইন ফলো করতে হবে। ভাল ডিজাইন পেতে হলে,,, সবচেয়ে বড় সহায়ক হচ্ছেhttp://www.graphicriver.net অথবা http://www.dribbble.com এ ও দেখতে পারেন। প্রথমত হুবুহু একটা ডিজাইন দেখে ওইটার কপি আরেকটা করুন। এভাবে ২০ থেকে ৫০ টা ডিজাইন কপি করে ডিজাইন করুন ( কপি করা ডিজাইন কথনোই পোর্টফোলিও তে রাখার চেষ্ট করবেন না) । এই কপি করা ডিজাইন গ্রুপে শেয়ার করে ভুল গুলো শুধরিয়ে নিতে পারেন। তবে কপি করা ডিজাইন গ্রুপে শেয়ার করলে , যে ডিজাইন দেখে হুবুহু ডিজাইন করেছেন তার লিংক টাও অবশ্যই শেয়ার করবেন।
    এরপর আপনি যখন বিভিন্ন টুল, ইত্যাদীর পারফেক্ট ব্যাবহার আয়ত্ত করতে পারবেন তখন আপনি ২০ থেকে ৫০ টার মত ডিজাইন দেখে নিজের থেকে একটা ডিজাইন করার চেষ্টা করুন। প্রথমে একটু অস্বস্তি অস্বস্তি লাগবে, আইডিয়া বের হতে চাইবে না। কিন্তু যখন আপনি কয়েকটা ডিজাইন কমপ্লিট করবেন । এরপর দেখবেন আস্তে আস্তে অটোমেটিক ভাবে আপনার মাথা থেকে নতুন নতুন ক্রিয়েটিভিটি বের হতে থাকবে। আমি এখনও ডিজাইন করার আগে কমপক্ষে ২০ টা ডিজাইন দেখি। তাহলে আপনারা কেন পারবেন না।?
    গ্রাফিকরিভারে এপ্রুভ করাবো কিভাবে?
    – বর্তমান সময়ে গ্রফিকরিভার টা হচ্ছে সবচেয়ে বড় গ্রাফিক এলিমেন্ট মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনার ডিজাইন এপ্রুভ করাতে হলে, প্রথমত উপরের কথা গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করুন। এরপর , আপনার চোখকে ডিজাইনারের চোখ থেকে একজন রিভিউয়ারে পরিনত করুন। ডিজাইন করার পরে তা সমালোচনার জন্য আরেক জনকে দেখান। এক্ষেত্রে ডিজাইন গ্রুপে শেয়ার করতে পারেন অথবা সবচেয়ে ভাল হয় ডিজাইনটা করার পরে কোন একজন মেয়ে মানুষকে তা দেখান। সে হোক আপনার বোন, আপনার স্ত্রী। কারণ মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশী এ্যাডভান্স। তারা আপনার ডিজাইনের একটা ফিডব্যাক দিবেই। যেই ফিডব্যাক দেয় সেই ভাবে আবার এডিট করুন।
    -দ্বিতীয়ত- ডিজাইন করার পরে গ্রাফিক রিভারের অন্যান্য ডিজাইনের কোয়ালিটির সাথে আপনার ডিজাইনের কোয়ালিটি ( কালার, শেপ, টাইপোগ্রাফি) ইত্যাদী খুব সুক্ষ ভাবে পর্যালোচনা করুন। কখনোই নিজের ডিজাইনের প্রেমে পড়বেন না। মনে রাখবেন, আপনি যদি ডিজাইন করার পর আপনার ডিজাইনের প্রতি আসক্ত হয়ে যান, তাহলে কখনোই ভাল মানের ডিজাইন করতে পারবেননা। সর্বদা আপনার ডিজাইন ইউনিক করার অর্থাৎ সুন্দর এরং ক্রিয়েটিভ করার চেষ্ট করুন। কপি পেস্ট ডিজাইন কখনোই রিভারে আপলোড দিবেন না্।
    -তৃতীয়ত- অনেকেই Behance বা Dribbble থেকে ফ্রি ফাইল নামিয়ে কিছুটা চেঞ্জ করে রিভারে আপলোড দেয়। এরকম কখনোই করবেন না। হয়তো বা আপনার ওই ডিজাইনটা এপ্রুভ হবে, কিন্তু রিপোর্ট যদি দেয় কেউ তাহলে কিন্তু গোমড় ফাঁস হয়ে যাবে এমনকি রিভারের আইডিটাও রিমুভ করে দিতে পারে। ফ্রি ফাইল না নামালেও বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে দেখা ডিজাইনও হুবুহ কপি মেরে রিভারে আপলোড দিবেন না। এক কথায় রিভারে কখনোই কপি পেস্ট ডিজাইন আপলোড দিবেন না।
    সর্বপরি নিজের মেধাকে বিকশিত করার চেষ্ট করুন।
    ডিজাইন করতে হলে কি ভার আর্টিস্ট হতে হয়?
    – না ভাই, ভাল ডিজাইন করার জন্য ভাল আর্টিস্ট হওয়ার দরকার নাই । অাপনার আত্নবিশ্বাস , ইচ্ছাশক্তি এরং সঠিক গাইডলাইনই আপনাকে একজন ভাল মানের ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলবে।
    আজকে এই পর্যন্তই।আর ডিজাইন সম্পর্কে অারো কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে আমাকে ফেইসবুকে ম্যাসেজ দিবেন নির্দিধায়।আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
    ধন্যবাদ

    No comments:

    Post a Comment

    Blog Archive

    Contact Form

    Name

    Email *

    Message *